প্রদীপ শীল, রাউজান
দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর শাখা খালগুলো শুকিয়ে চৌচির। নষ্ট স্লুইসগেটের মেরামত কাজ চলায় পানি প্রবাহিত বন্ধ রয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে। স্লুইস গেট মেরামত কাজের জন্য উপজেলার পূর্বগুজরা ও পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের দুই থেকে আড়াইশ একর জমিতে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে উপজেলার বাগোয়ানের লাম্বুর হাটে একটি ব্রীজ নির্মাণ কাজের পাইলিং কাজের জন্য পানি প্রবাহিত বন্ধ থাকায় উপজেলার বাগোয়ান, পাহাড়তলী ও কদলপুরে প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। দুর্ভোগে পড়েছেন উপজেলার পূর্বগুজরা, পশ্চিম গুজরা, কদলপুর, পাহাড়তলী ও বাগোয়ান ইউনিয়নের হাজারো কৃষক। কৃষিকাজ ব্যাহত হওয়ায় তাদের বুকফাটা আর্তনাদ কিছুতেই থামছে না। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র মতে, চলতি মৌসুম বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ২০০ হেক্টর। কদলপুরের স্কীম পরিচলানাকারী মো. এখতিয়ার উদ্দিন বলেন, খালে পানি না থাকায় প্রায় দেড়শকানি জমিতে চাষাবাদ ব্যহত হচ্ছে। সিরাজ মিয়া নামে এক কৃষক বলেন, পানি না থাকায় চাষাবাদে সমস্যা হচ্ছে। পূর্ব আঁধার মানিক এলাকার কৃষক পিযুষ কান্তি চৌধুরী বিষু বলেন, তার চারটি সেচ প্রকল্প স্ক্রীমের আওতায় ৫শত একর ফসলী জমিতে কৃষকেরা বোরো ধানের চাষাবাদ করেন। স্লুইসগেট মেরামত কাজের জন্য পানি বন্ধ রাখায় পানি সরবরাহ সম্ভব হচ্ছেনা । স্থানীয় কৃষকেরা বলেন, সরকার ও রাউজানের সাংসদ এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী অনাবাদী জমিতে চাষাবাদ করার জন্য কৃষকদের বিভিন্ন প্রকার সহায়তা প্রদান করছে । মগদাই স্লুইসগেট ও লাম্বুর হাটে ব্রীজ নির্মাণ কাজের পাইলিং এর জন্য রাউজানের পুর্ব আধার মানিক, পশ্চিম কদলপুর, উত্তর গুজরা, আধার মানিক, দেওয়ান পুর, বদু পাড়া, পশ্চিম কদলপুর, বড়ঠাকুর পাড়া এলাকায় প্রায় ১ হাজার একরের বেশী ফসলী জমিতে ধানের চারারোপন করতে না ব্যর্থ হয়ে হাহাকার করছেন। এ ব্যাপারে রাউজান উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসাইন বলেন, মগদাইর স্লুইস গেটের জন্য প্রায় দুইশ-আড়াই শত ফসলি জমিতে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে বাগোয়ান ইউনিয়নের লাম্বুর হাটে ব্রীজ নির্মাাণের পাইলিং কাজের জন্য প্রায় এক হাজার একর জমিতে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। ব্রীজ নির্মাণ কাজের টিকাদার আগামী মঙ্গলবার পানি ছেড়ে দেবেন বলে ্আশ্বাস দিয়েছেন। অন্যদিকে মগদাইর স্লুইস গেটের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীকে ফোন করে স্লুইস গেট খুলে দেওয়ার জন্য বলেছি । তারা আমাকে বলেছেন মগদাই মোরামত কাজ চলছে । দুদিনের মধ্যে কাজ শেষ করে খুলে দেওয়া হবে । পানি উন্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রাম’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী অমিত মজুমদার বলেন, ‘হালদা-মগদাইখালের মুখে যে স্লুইস গেট রয়েছে সেটির সমস্যা দেখা দেওয়ায় মেরামত কাজ চলছে। অতি শিগগিরই খুলে দেওয়া হবে। মেরামত কাজ শেষ হতে সপ্তাহখানেক লাগবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।’