মোঃ শহিদ উখিয়া।
উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম ডিগলিয়া পালং ইসলামিয়া হাফেজ খানা ও নূরানী মাদ্রাসার ৫ ছাত্রকে দস্তারবন্দী প্রধান করা হয়ছে।
শুক্রবার ( ৮ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর পশ্চিম ডিগলিয়া পালং জামে মসজিদে এই দস্তারবন্দী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
পশ্চিম ডিগলিয়া পালং ইসলামিয়া হাফেজ খানার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা ক্বারী রায়হান নুর ও মাওলানা ইমরান উল্লাহ সিরাজী এর ঘামঝরা পরিশ্রমের বিনিময়ে ছাত্রদের দস্তারবন্দীর জন্য বিশেষ অবদান রাখেন।
দস্তারবন্দী ছাত্ররা হলেন, পশ্চিম ডিগলিয়া পালং এলাকার হাসান আলীর ছেলে মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম, মাওলানা মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ হাবিবুল হাসান, রমজান আলীর ছেলে মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল, মৌলনা মুহাম্মদ ইসমাইলের ছেলে মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম, মুহাম্মদ মনজুরের ছেলে মোহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পশ্চিম ডিগলিয়া পালং ইসলামিয়া হাফেজ খানা ও নুরানী মাদ্রাসার সভাপতি ও কক্সবাজার দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানার পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ আলী।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ধর্মীয় শিক্ষক অত্র এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বি মাওলানা আব্দু সালাম
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ৪ নং রাজাপালং ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মীর শাহেদুল ইসলাম (চৌধুরী) রোমন।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, উখিয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ছৈয়দ আহাম্মদ সওদাগর,এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বি হাজী আলম, হাজী আব্দু রহিম, মৌলবী জসিম সহ প্রমুখ।
বিশেষ অতিথি বক্তব্যে মীর শাহেদুল ইসলাম চৌধুরী রোমান বলেন, কুরআনি শিক্ষাকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষা আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীদের কুরআন হিফজের পাশাপাশি কুরআনের মর্মার্থ উপলব্ধি করার আহ্বান জানান। তিনি কুরআনের বাণী উল্লেখ করে বলেন, আল্লাহ নিজেই কুরআন নাজিল করেছেন এবং তিনিই এর সংরক্ষণকারী। সুতরাং কুরআন এ পৃথিবীতে শাশ্বতরূপে টিকে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মোহাম্মদ আলী বলেন,
কুরআনের শিক্ষার্থীদের পৃথিবী সেরা শিক্ষার্থী উল্লেখ করে উপস্থিত অভিভাবকদের স্বীয় সন্তানদের মনোদৈহিক বিকাশে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করেন।
মৃতদের মাগফিরাত কামনা এবং জীবিতদের সুস্বাস্থ্য ও নেক হায়াত কামনা করে দোয়া মুনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা সিরাজুল হক সাহেব ।
পরে পবিত্র কুরআন থেকে শিক্ষার্থীরা কোরআন তেলওয়াত পাঠ করেন।