রায়হান আহম্মেদ,
পানছড়ি(খাগড়াছড়ি) সংবাদদাতা।
খাগড়াছড়ি জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা পানছড়ি উপজেলা । ১৯৯২ সালে অধ্যক্ষ সমীর দত্ত চাকমার হাত ধরে শুরু হয়েছিল কলেজটির পদচারণা। হাটি হাটি পা পা করে কলেজটি বর্তমানে স্বনামধন্য। দেশের বড় বড় আসনগুলোতে বসে দেশ সেবায় নিয়োজিত আছেন এই কলেজে পড়য়াশিক্ষার্থীরা।
বর্তমানে কলেজে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। খাগড়াছড়ি থেকে শুরু করে ভাইবোনছড়া, তাইন্দং, তবলছড়ি, লোগাং ও ধুদুকছড়ির শিক্ষার্থীরা অধ্যয়ন করে এই কলেজে। শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, তারা বেশীরভাগ গরীব পরিবারের সন্তান। অভাবের সাথে লড়াই করেই অনেকে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম। কিন্তু প্রতিদিন গাড়ী ভাড়া দিয়ে কলেজে আসা-যাওয়া অনেকের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তাই শিক্ষার্থীদের দাবীকোন সংস্থা, উন্নয়ন বোর্ড বা জেলা পরিষদ একটি বাস দিলে সপ্তাহে কমপক্ষে তিন বা চারদিন কোন টেনশন ছাড়াই কলেজে আসা-যাওয়া হতো।
বিএম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মধুলিকা ত্রিপুরা, মিথুন চাকমা, একাদশ শ্রেণীর মানবিক বিভাগের প্রথম বর্ষের বিনয় বাবু চাকমা, কাজী সুজন ও ব্যবসায় শিক্ষার রাকিব হোসেন জানায়, একটি কলেজ বাস খুবই জরুরী। এতে সকল শিক্ষার্থীরাই উপকৃত হবে।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ধন বিকাশ চাকমা জানান, একটি কলেজ বাস হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই সুবিধা ভোগ করবে। তিনিও একটি কলেজ বাসের দাবী জানান।
কলেজ অধ্যক্ষ সমীর দত্ত চাকমা জানান, বেশীর ভাগ শিক্ষার্থীও বসবাস দারিদ্র সীমার নীচে শিক্ষার্থীদের দাবী যথোপযুক্ত। একটি বাস খাগড়াছড়ি হয়ে ধুদুকছড়া পর্যন্ত সার্ভিস দিলে অনেক দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা সুফলভোগী হবে। তিনিও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন। শিক্ষার্থীদের দাবী উন্নয়ন বোর্ড, জেলা পরিষদ বা কোন সংস্থা একটু নজর দিলেই পানছড়ি কলেজের শিক্ষার্থীদের মনের দীর্ঘদিনের স্বপ্নটি বাস্তবে পরিনত হবে